• ঢাকা রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
রাজধানীতে ক্যাম্পের সিঁড়ি থেকে পড়ে সেনা সদস্যের মৃত্যু
রাজধানীতে ক্যাম্পের সিঁড়ি থেকে পড়ে অমিত দে (২৪) নামে এক সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল সেনা ক্যাম্পে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন ওই সেনাসদস্যকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এরপর পৌনে ১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবিষয়ে ল্যান্স করপোরাল মো. আব্দুর রহিম বলেন, ক্যাম্পের সিঁড়ি থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন অমিত। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অমিতের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার আটার গ্রামে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক। আরটিভি/এসএপি
৫ ঘণ্টা আগে

কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কেন্দ্রীয় কারাগারের মো. লিয়াকত (৪৮) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। । মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত পৌনে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। মো. লিয়াকতের বাবার নাম ফকির মাহমুদ। তবে তিনি কোন মামলায় কারাগারে ছিলেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। লিয়াকতকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. মেহেদী হাসান জানান, গতকাল রাতে লিয়াকত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কয়েকজন কারারক্ষী ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে রাত পৌনে ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক লিয়াকতকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আরটিভ/একে-টি 
০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৬

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন
পাঁচ দিনের রিমান্ডে থাকা সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে ঢামেকে আনা হয়। বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে (ওসেক) সুজনের চিকিৎসা চলছে।   বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোর কুমার সাহা। তিনি জানান, সাবেক রেলমন্ত্রী বুকে ব্যথা অনুভব করায় যাত্রাবাড়ী পুলিশ তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) তার চিকিৎসা চলছে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে গত ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নূরুল ইসলাম সুজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেন। ওই সময় নির্বাচনে পরাজিত হন। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন নূরুল ইসলাম সুজন। তারপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন তিনি। ওই সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তিনি। আরটিভি/এফএ/এসএ
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:০১

৮০ জন চিকিৎসকের ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় ঢামেকে আলাদা যমজ বোন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৮০ জন চিকিৎসকের ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় অস্ত্রোপচারের মধ্যমে আলাদা করা হয়েছে পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো যমজ দুই বোন শিফা ও রিফাকে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে শিশু দুটিকে সফলভাবে আলাদা করার কথা জানায়। হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রিফা ও শিফাকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয়। বিভিন্ন বিভাগের ৮০ জন চিকিৎসক প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে এই অস্ত্রোপচার করেন। বাদশা ও মাহমুদা দম্পতির সন্তান ১৫ মাসের রিফা এবং শিফা। তাদের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলায়। এই দম্পতির ছয় বছরের আরও এক মেয়ে আছে।  অধ্যাপক সাহনুর বলেন, চলতি মাসের ১৪ জুন মাহমুদা বুক পেট জোড়া লাগানো শিশু দুটিকে নিয়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ২১ জুন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এক মাস পর তাদের আসতে বলা হয়। এক মাস পর তাদের চিকিৎসা দিয়ে আরও এক মাস পর দেখা করতে বলা হয়। তিনি বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করার পর দুই বোনকে আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর রিফাকে ও ৯ সেপ্টেম্বর শিফাকে ভেন্টিলেটর মুক্ত করা হয়। এর মধ্যে রিফা সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও শিফা অসুস্থ ছিল। তার হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। তাকে হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে শিফার পিত্তনালির সংযোগ খুলে যাওয়ায় আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। শিফা বর্তমানে আইসিইউতে আছে। তিনি আরও বলেন, কখনও কখনও জোড়া লাগানো যমজদের দুজনের কাউকে রক্ষা করা যায় না। কখনও একজনকে রক্ষা করা সম্ভব হয়।’ প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। রিফা ও শিফার বাবা বাদশা বলেন, ওরা যখন মায়ের গর্ভে ছিল তখন চিকিৎসক জানান, তাদের যমজ সন্তান হবে। কিন্তু জন্মের সময় জানা যায় শিশু দুটি একে অপরের সঙ্গে জোড়া লাগানো। জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমাজসেবা দপ্তর, আকিজ গ্রুপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারডেমের ট্রান্সফিউশান মেডিসিন বিভাগ, ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক ও তার মা-বাবা শিফা ও রিফার চিকিৎসার খরচ বহন করেছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৪

রাজধানীতে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সালাউদ্দিন সিএনজি পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  ট্রাফিক ভলান্টিয়ার রবিউল ইসলাম বলেন, চোর সন্দেহে পিটিয়ে ওই ব্যক্তিকে ফেলে রেখে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তিনি আগেই মারা গেছেন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।    বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪২

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ কয়েদির মৃত্যু
কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ মো. পাভেল রহমান (৫৪) নামে এক কয়েদির ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১০টার দিকে কারাগারে পাভেল অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারারক্ষী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পাভেল রহমানের কয়েদি নম্বর ৬৬৩১/এ। তার বাবার নাম গোলাপ রহমান। তিনি সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পর ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পাভেল রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কারারক্ষী শাকিল খান জানান, আজ সকালের দিকে পাভেল কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে কারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা কয়েকজন তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। এরপর বেলা পৌনে ১১টার দিকে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। ময়নাতদন্তের পর কারা কর্তৃপক্ষ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। আরটিভি/ এবি
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪

দোলনায় দোল খেতে গিয়ে গলায় ফাঁস লেগে শিশুর মৃত্যু
রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকার একটি বাসায় দোলনায় দোল খাওয়ার সময় গলায় ফাঁস লেগে লাবিব (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শিশু লাবিব লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সদরের নুরুল আমিনের ছেলে। তেজগাঁও বেগুনবাড়ি সিদ্দিক মাস্টার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাস করত সে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে লাবিব ছিল দ্বিতীয়। নিহত লাবিবের মা লাবনী আক্তার জানান, আমার ছেলে বাক প্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না। সন্ধ্যার দিকে সে দোলনায় দোল খাচ্ছিল। এ সময় অসাবধানতাবশত ওই দোলনায় গলায় ফাঁস লেগে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিশু লাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  তিনি জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৩৯

সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ঢাকা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের ভেতরে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে এবং আমাদের কলেজের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান (১৭), আব্দুল্লাহ (১৮), তৌহিদুর রহমান তানভীর (১৭), বাদল (১৭), সামির (১৫), তাহমিদ সালেহ (২১), আব্দুল্লাহ (১৮), আরিফ (১৯), শামীম (১৭), বখতিয়ার (১৮), মো শামীম (১৭), নিশাত (১৬), হুজাইফা (২৩), ইয়াসিন (১৮) ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব (১৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আরটিভি/এসএ
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:৩৪

ঢামেকের ৫ চিকিৎসককে বদলি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) কর্মরত পাঁচ চিকিৎসককে দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হলো। পদায়ন করা কর্মকর্তারা আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্ম দিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন। এমনকি বদলি বা পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাঁচ চিকিৎসকের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুর হোসেন ভূঁইয়াকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে, শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা সামসাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এ জেড এম মাহফুজুর রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেনকে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে। আরটিভি/ফাআ-টি
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩১

আহত ডাক্তারদের দেখতে ঢামেকে বিএনপি নেতারা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আহত ডাক্তারদের খোঁজ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আহত দুই চিকিৎসক ডা. ইমরান ও ডা. মাশরাফিকে মারধর করে রোগীর স্বজনরা। নিউরোসার্জারি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে তাদের মারধর করা হয়। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আহত এই দুই ডাক্তারকে দেখতে যান বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামসহ বিএনপির একটি টিম। তিনি আহত চিকিৎসকদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পক্ষে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি অতীতে ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ওই সময় আক্রান্ত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ও তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করার কথা উল্লেখ করেন। তবে এই ধরনের ঘটনায় কোনো সুযোগ সন্ধানী মহলের অস্থিরতা তৈরি করার ষড়যন্ত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান ডা. রফিকুল ইসলাম। পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, ডাক্তারদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের। ডাক্তারদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতি সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামানের কক্ষে বসা এ বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহও ছিলেন। বৈঠকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার এ ঘোষণা দেওয়ার পরই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থী রয়েছেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) শাহবাগ থানায় এই মামলা করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকদের মারধর করে। অভিযোগ ওঠে, রোগীর স্বজনরা ওটিতে ঢুকে ডা. ইমরান ও ডা. মাশরাফিকে মারধর করেছে। স্বজনদের দাবি, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারদের দাবি, রোগী পথেই মারা গেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় দিকে দুর্ঘটনায় পতিত এ রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তখন থেকেই নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ঢামেকের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। পরে সকালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, দোষীদের গ্রেপ্তার ও সেনাবাহিনী মোতায়েন না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করে। চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলায় বিপাকে পড়েন শত শত রোগী ও তাদের স্বজনরা। অনেকেই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছেন। আবার কিছু রোগী ও তাদের স্বজনদেরকে জরুরী বিভাগের সামনে যন্ত্রণা আর হতাশায় শুয়ে পড়তেও দেখা গেছে। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরি চিকিৎসার জন্য আনা রোগীদের নিয়ে কী করবেন, কোথায় যাবেন- বুঝতে পারছেন না তাদের স্বজনরা। সেবা না পেয়ে আহাজারিও করতেও দেখা গেছে অনেককে। এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের হামলার ঘটনায় চাপাতিসহ চারজনকে রাতেই আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটক হওয়া চারজন হলেন, বাপি মিয়া (২৪), আদিব (২৩) নাসির (২৫) নাবিল (২৭)। তারা সবাই খিলগাঁও থানার বাসিন্দা। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটে। পরে এই ঘটনায় আহত এক গ্রুপ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসে। পরে অন্য আরেকটি গ্রুপ চাপাতি নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়। অপরদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, চেম্বার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলবে। এই সময়ে কোনো সেবা দেওয়া হবে না। চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হাসপাতালের মতো একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যেসব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল ন্যক্কারজনক এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ব্যতীত বহিরাগত ব্যক্তি বা মহল কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না, যা স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। হাসপাতালে রোগীর সেবাপ্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসংগতি বা অবহেলা পরিলক্ষিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে, কোনোভাবেই আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। এ অবস্থায় ডাক্তারদের কর্মবিরতি কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে চিকিৎসকদেরও উচিত কর্মবিরতি কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া। তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসানুল হক দীপ্ত নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এটা ঠিক হয়নি। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা খুবই পীড়াদায়ক। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বড় আঘাত হওয়ায় বাঁচানো যায়নি। গাফিলতি হলে সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা না শুনে ডাক্তারদের ওপর হাত তোলা হয়েছে, এটা ঠিক হয়নি। নূরজাহান বেগম বলেন, ঢাকা মেডিকেলের পর আরও দুটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে, যা খুবই দুঃখজনক। ডাক্তাররা তাদের যথাসাধ্য দায়িত্ব পালন করেছে। এভাবে কথায় কথায় ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা যাবে না। পরে চিকিৎসকদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনরত ডাক্তাররা আমাদের সন্তানের মতো। তাদের প্রতি আমি আহ্বান জানাবো, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলে নাও। মানুষের সেবায় এসেছ, মানুষের সেবায় ফিরে যাও।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়